মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:২২ পূর্বাহ্ন
স্পোর্টস রিপোর্টার : বৃষ্টিতে আড়াই ঘন্টার বেশি খেলা বন্ধ থাকার পর ম্যাচ ছোট হয়ে ৪১ ওভারে আকার নিয়েছে। অথচ নাজমুল হাসান শান্তর দল পুরো ৪১ ওভারও খেলতে পারেনি। ৯ বল আগে ১৬৫ রানেই অলআউট হয়েছে তারা।
যেহেতু শান্ত বাহিনীর ইনিংসের ১৫ নম্বর ওভারে বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ হয়েছিল। আড়াই ঘন্টা পর আবার শুরু হয়ে ৫০ ওভারের ম্যাচ ৪১ ওভারে ছোট হয়েছে, তাই খেলা গড়িয়েছে ডাকওয়ার্থ লুইস (ডিএল) মেথডে। সেই ডিএল পদ্ধতিতে তামিম বাহিনীর সামনে টার্গেট ১৬৪ রানের (৪১ ওভারে)।
শুরুর অবস্থার সাথে মেলালে শান্ত বাহিনীর সংগ্রহ মন্দ নয়। কিন্তু মাঝখানের দৃশ্যপটের আলোকে চিন্তা করলে রান কমই হয়েছে। কারণ দুই মিডল অর্ডার মুশফিকুর রহীম আর আফিফ হোসেন ধ্রুব শুরুর ধাক্কা সামলে দলকে একটা শক্ত ভিত গড়ে দিয়েছিলেন। সেখান থেকে স্কোর আরও বড় হতে পারতো।
৮.১ ওভারে ২৫ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর হাল ধরেন মিস্টার ডিপেন্ডেবল আর বাঁহাতি আফিফ। তারা দুজন আস্থা ও আত্মবিশ্বাসের সাথে খেলে উইকেটে থিতু হয়ে গিয়েছিলেন। দেখে মনে হচ্ছিল, দুজনই লম্বা ইনিংস খেলবেন।
মুশফিক শুরু করেছিলেন সর্বোচ্চ সতর্কতায়। ডাবল ফিগারে পৌঁছাতে খেলেন ২৬ বল। ২৬ নম্বর বলে প্রথম বাউন্ডারি হাঁকিয়ে পৌঁছে যান দুই অংকে। তারপর প্রায় বল পিছু রান তোলায় ছিলেন সচেষ্ট।
খালেদ আহমেদকে ছক্কা আর তিনটি বাউন্ডারি হাঁকানো ছাড়া মুশফিকের ইনিংসটি গড়ে ওঠেছে মূলত সিঙ্গেলস (২০ টি) আর ডাবলসে (৬ টি)। কিন্তু যখন তার হাত খুলে খেলার কথা, ঠিক তখন মানে হাফসেঞ্চুরি পূরনের পর পরই আউট হয়ে যান মুশফিক।
২৯তম ওভারে সাইফউদ্দীনকে পুল করে ডিপ ব্যাকওয়াড স্কোয়ার লেগে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন মিস্টার ডিপেন্ডেবল। সীমানার ধারে দাঁড়ানো ফাস্টবোলার শরিফুল ইসলাম সামনে মাটিতে শরীর ফেলে অসামান্য ক্ষীপ্রতা আর দক্ষতায় ক্যাচটি ধরে ফেলেন। এর ঠিক দুই ওভার পর ফিরে যান আফিফ হোসেনও। ৬১ বলে ৪০ রান করা আফিফ অফস্পিনার মেহেদিকে স্কুপ করতে গিয়ে হন বোল্ড।
এরপর ছন্দপতন। তৌহিদ হৃদয় (১৮ বলে ১৩), ইরফান শুক্কুর (১৭ বলে ১১), নাসুম আহমেদ (১২ বলে ১২), রিশাদ হোসেন (১), তাসকিন আহমেদ (২) আর আল আমিন (১) কিছুই করতে পারেননি।
মুশফিক আউট হওয়ার সময় রান ছিল ১১৫। আফিফ যখন আউট হন তখন ১২৯। আর শান্ত বাহিনীর ইনিংস শেষ হয়েছে ১৬৫ রানে। তাই বলাই যায়, শেষ পর্যন্ত স্কোর লাইনের যে চেহারা হয়েছে, তার চেয়ে অনেক বড় হতে পারতো।
শান্তর দলকে অল্প রানে বেঁধে ফেলার প্রধান কৃতিত্বটা সাইফউদ্দিনের। বল হাতে ইনিংসের সূচনা করা ফেনীর এ মিডিয়াম পেসার একাই শান্ত বাহিনীর ইনিংসের অর্ধেকটার পতন ঘটিয়েছেন। তার বলে সাজঘরে ফিরেছেন সৌম্য সরকার, মুশফিকুর রহীম, তৌহিদ হৃদয়, তাসকিন আহমেদ আর আল আমিন হোসেন।
কাটার মাস্টার মোস্তাফিজুর রহমানও অবশ্য কম যাননি। বাঁহাতি এই পেসারের ঝুলিতে জমা পড়েছে ৩ উইকেট। এছাড়া অফস্পিনার মেহেদী হাসান নেন ২ উইকেট।
দৈনিকবিডিনিউজ৩৬০/এসএস